Sunday, November 23, 2025

রবীন্দ্রনাথের মানবতাবাদী দর্শন ও বর্তমান প্রেক্ষিত

ড. গুরুপদ অধিকারী

ভারতীয় উপমহাদেশের উনিশ ও বিশ শতকের অন্যতম মনীষী ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। পারিবারিক ঔপনিষদিক চিন্তাধারার উত্তরাধিকার তাঁর চিত্তকে দিয়েছিল প্রসারতা। উপনিষদের ‘ঈশাবাস্য মিদং সর্ব্বং’  অর্থাৎ জগতের সবকিছুই ঈশ্বর দ্বারা আচ্ছাদিত, এই বাণীই ছিল তাঁর জীবনের মূলমন্ত্র। ইউরোপীয় জ্ঞানভাবনা, রমা রঁল্যা, ম্যাক্সিম গোর্কি, মহাত্মা গান্ধী, আইনস্টাইনের সান্নিধ্য তাঁর চিন্তাধারাকে স্বচ্ছ, পরিশীলিত ও বাস্তবরূপ দান করেছিল। যেকারণে তিনি সেসময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চিন্তাশীল মনীষী রূপে স্থান পেয়েছিলেন। আত্মানুসন্ধানই ছিল তাঁর জীবনসাধনার অন্যতম অন্বিষ্ট বিষয়। তাঁর দর্শনের প্রধান বাণীই ছিল জনকল্যাণ বা ‘লোকহিত’ সাধনা। সমসাময়িক আর্থ সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় পরিমণ্ডল এই প্রসঙ্গে বিবেচ্য। ধনীসমাজ চিরকাল নির্যাতন করেছিল নিম্নবর্গের মানুষদের। শিক্ষার অধিকার ও সুযোগ হারিয়ে এই মানুষেরা সেদিন নিজেদের দাসরূপে ভাবতে শুরু করেছিল। হীনমন্যতা তাদের সংকুচিত করে তুলেছিল। আঘাতে আঘাতে ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু হয়ে পড়েছিল সমাজের নিম্নবর্গের মানুষ। কোনোভাবেই চাবুকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে এরা গর্জে ওঠেনি, বরং, করজোড়ে ঈশ্বরের কাছে নালিশ জানিয়েছে। মহাজন, পুলিশ, মোক্তার, গুরুঠাকুর সবাই নিজস্ব কায়দায় তাদের অনন্তকাল ধরে শোষণ করেছে। আর, “তাহারা কেবল সেই অদৃষ্টের নামে নালিশ করিতেছে, যাহার নামে সমন-জারি করিবার জো নাই”। একটা আত্মঘাতী মানসিকতা সেদিন আমাদের দেশের ‘শোণপ্রাংশু’ ও ‘দর্ভক’- দের আরও নিচে ঠেলে দিয়েছিল।

Sunday, November 23, 2025

রায় পরিবার  ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

সনৎ ব্যানার্জ্জী

   জোড়াঁসাকোর ঠাকুর পরিবার এবং মসুয়ার রায় পরিবার ,দুটি পরিবারই  ভগবানের আশীর্বাদ ধন্য বাংলার সংস্কৃতি চর্চার প্রধান কেন্দ্র। ঠাকুর পরিবার সম্বন্ধে আমরা সকলেই অল্প বিস্তর জানি, কিভাবে যশোর খুলনা থেকে কলকাতায় এসে ধনে-মানে- যশে বিখ্যাত হয়েছে।এমনকি রবীন্দ্রনাথের আলোয় আলোকিত হয়েছে। অপরদিকে রায় পরিবার সম্বন্ধে আমরা খুবই অলপ জানি ,অনেকে আবার জানেই না।

          মসুয়া ময়মনসিংহের একটি গ্রাম। আজ থেকে ৪০০ বৎসর আগে নদীয়া জেলার চাকদহ থেকে রামসুন্দর দেও নামে এক যুবক ময়মনসিংহের শেরপুর যান। শেরপুর সংলগ্ন যশোরের রাজা তাকে দেখে মুগ্ধ হয়ে তার মেয়ের সাথে ওই যুবকের বিবাহ দেন,সাথে জমিদারি ও ঘরবাড়ি। এরপর থেকে তাদের পদবী হয়ে ওঠে ‘রায়’ এবং বেশ কিছুদিন যশোরে কাটিয়ে মসুয়া গ্রামে চলে আসেন। এই জমিদার বাড়ীর ছেলে কালীনাথ রায়। কালীনাথ রায়ের পাঁচ ছেলে দুই মেয়ে।সারদারঞ্জন,কামদারঞ্জন,মুক্তিদারঞ্জন,কুলদারঞ্জন ও প্রসাদরঞ্জন।সকলেই বিদ্যাবুদ্ধিতে খেলাধুলায় ছিলেন অগ্রনী।পরবর্তীকালে কামদারঞ্জনকে তার এক জ্ঞাতি হরিকিশোর রায়চৌধুরি দত্তক নেন,তখন তার নাম হয় উপেন্দ্রকিশোর রায়।

Scroll to Top